ভাঙ্গা ভূখন্ড
ভালোবাসা কখনোই যথেস্ট নাহ, এক সমুদ্র ভালোবাসাও নাহ।
ভালোবাসার বিশাল সাগরে আমাদের ভালোবাসা যথেস্ট ভেবে যে ভুখন্ড নির্মাণ করেছিলাম,
যেখানে রৌদের আগুন আবারো প্রকশে ছিল এবং আশা মুখে হাসি বেদনা ছিল, কিছু একটা সুন্দর ছিল।
আশা এখানে খুব ছিল , কারন এখানে মন খুলে বসে ছিলাম।
কিন্তু সময় এবং প্রবাহমান তরঙ্গ এর মতন কখনও যে ভালোবাসারও চলে যাওয়ার সূচনা করতে পারে এটাতো মাথায় আশে নি তখনও।
এত শক্ত করে গিট বেধেছিলাম বলে , তা কিনা দেখ কিভাবে ছুটে যাচ্ছে ।
যত চেচাই আর প্রার্থনা করি , খুব হালকা টানেই যেন গিট ছুটে যায়।
ভুখন্ড গুলো, যারা কখনো একসাথে ছিল এখন বিচ্ছিন্নে সমুদ্রে হারিয়ে গেছে,
আলাদা হয়ে গেছে। ব্যাস! এখানে আর কোন আশার সংযোগ নাই।
কাদো ভাবে না বরং খুব শান্ত বিকালের বাতাসে বসে কথার চলন যাচ্ছে।
এই যে এই আলাদা হল ভুখন্ড আমাদের ,এখন তোমার আর আমার দ্বীপ, আলাদা আলাদা দ্বীপ। আমি এখানে থেকে চেচিয়ে তোমার কথা বললেও তুমি শুনবে নাহ। শব্দই পৌছাবে নাহ।
তারপর হয়কি বুঝলে দ্বীপ গুলোতে? দ্বীপ গুলোতে নতুন বাগান হয়, ছোট কুড়ে ঘরে হয়। খুব অভাক লাগে যে এতদিন একসাথে থাকার পর কীভাবে এত সহজে আবার সবুজ চারদিক। বিস্মিত লাগে যে দ্বীপগুলি কে দেখলে বোঝাই যায় নাহ যে তারা কখনো এক ভুখন্ড ছিল? কার একটু চেস্টা নাই কেন ভুখন্ড গুলো ধরে জোরা দেবার? কিন্তু ভুখন্ডের জোরা দেয়াতো হাজার চেস্টায় ও সম্ভব নাহ। আর কাছা--কাছিও তো নেই। এতই দু-প্রান্তে সরে গেছে ভূখন্ড , যে একপ্রান্তের হাহাকার অন্য প্রান্তে পৌছায় নাহ। তবে একটা বিষয় কী, শুধু একপ্রান্তের দ্বীপ এত পরিবর্তন হয় নাহ। দুই দ্বীপেই হয়। একটু সময়ের ব্যাবধ্যান কেবল।
তখন আবারো আশার উদ্ভোদন হয় আবার নিজের দ্বীপের মধ্যে, আবার বসে খুব যত্ন করে দ্বীপ সাজানো হয়। দীপের প্রান্তে যে বিচ্ছেদের চীর স্থায়ী দাগ পড়ে গেছে, তাতে খুব সুন্দর নকশা করা হয়, যেখানে শুধু ভালবাসা না থাকে সম্মান, প্রচুর কথোকথন এবং সর্বোচ্চ চেস্টা ।
![]() |
| Closer (2004) |



Comments
Post a Comment